ফেনী-২ আসনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াত প্রার্থী চূড়ান্ত

(০৩ অক্টোবর ২০১২):: প্রধান দুই দল আগামী সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনে চুপ থাকলেও বসে অন্য দলগুলো। নির্বাচন কি তত্ত¡বধায়ক সরকারের অধীনে না দলীয় সরকারের অধীনে এই নিয়ে ভাবছেনা সম্ভাব্য ফেনী-২ আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব হাজী আলা উদ্দিন ও ফেনী জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় মজলিশ শূরার সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী চূডান্ত হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মাঠে নেমেছে হাজী আলা উদ্দিন। ফেনী জাতীয় পার্টি অফিসে হাজী আলা উদ্দিনকে লাঙল প্রতীক উপহার দিয়ে দলে দলে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর হাজী আলা উদ্দিন ফেনীতে বিশাল শোডাউন করেছে। থেমে নেই লিয়াকত আলী ভূঁইয়াও। নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত কর্মীদের দিয়ে। ফেনী-২ আসন থেকে শক্ত অবস্থানে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ফেনী জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় মজলিশ শূরার সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। এখন পর্যন্ত ফেনী-২ আসনে জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব হাজী আলা উদ্দিন ছাড়া আর কারো নাম শোনা যাচ্ছেনা। আওয়ামীলীগ-বিএনপি থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিশ্চিত জানা যায়নি। তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নাম শোনা গেলেও তিনি দলীয় ইমেজ সংকটে ভূগছেন। বিএনপি প্রার্থী বর্তমান ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল) নির্বাচন করবে কি-না তার আলামত দেখা যায়নি। এ সকল দিক থেকে ১৮দলীয় প্রার্থী হোক আর একক জামায়াত প্রার্থী হোক জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়ার নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপিতে বিভাজন হওয়ার সুবাধে বিএনপি ও ছাত্র দলের একটি অংশ জামায়াত প্রার্থী ছাড়া বিকল্প চিন্ত করছেনা। জোটগত নির্বাচন হলে লিয়াকত আলী ভূইয়ার পাল্লা ভারি থাকবে বলে এমনি মন্তব্য করছেন খোদ বিএনপির প্রবীণ এক নেতা। নবম সংসদ নির্বাচনে লিয়াকত আলী ভূইয়া জোর প্রচেষ্টা করলেও চেয়ারপারসনের অনুরোধে তিনি সরে দাঁড়ান। রাজনৈতিক বিশিষ্টমহল বলছেন ফেনী-২ আসন বর্তমানে নির্বাচিত আসন, এই আসন থেকে ভিপি জয়নালকে প্রার্থী দিলে আসন হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপি ও ছাত্রদলের বিশাল একটি অংশ ভিপি জয়নালের পক্ষে কাজ করছেনা। কারণ বিরোধী দলের দলন পীডনে ভিপি জয়নালকে কাছে পাওয়া যায়নি। অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সংগঠন থেকে তাঁকে বাচাই করা হয়েছে। এই নিয়ে জেলা সংগঠনও কাজ শুরু করছে। এদিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে হাজী আলা উদ্দিন নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন। মাইকিং, পোষ্টার ও আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছেন। শহরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষদের সাথে মতবিনিময় করছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেয় বলে জাতীয় পার্টির অনেক নেতা দাবি করছেন। মাঠ পর্যায়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে লিয়াকত আলী ভূইয়া প্রচার প্রচারণা না করলেও সদর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। লিয়াকত আলী ভূইয়ার দলীয় প্রভাবের পাশাপাশি ব্যক্তি ইমেজ ভালো হওয়ার সুবাধে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তিনি জেলার সর্বজন ও সকল শ্রেণীর কাছে পরিচিত, তার গ্রহণ যোগ্যতা সবার উর্দ্ধে। বিরোধী দলের দলন পীড়নের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ভিপি জয়নালকে না দেখা গেলেও লিয়াকত আলী ভূইয়া ছিল সামনের কাতারে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর এই সকল কর্মকান্ডে বিএনপি আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে কাছে টেনে নেয়। ফেনী পৌরসভার মেয়র, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী তার পরিচিতি সভা ও পৌরসভার বাজেট অধিবেশনে শ্রদ্ধার সাথে নিজের পাশে বসান। বহু অনুষ্ঠানে ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বিকম তার মুখে কেক তুলে দেন।

-->