নিউইয়র্কে সাঈদ ইস্কান্দারের ইন্তেকাল

(সেপ্টেম্বর ২৩ ২০১২)- বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছোট ভাই বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদ এস্কান্দার আর নেই।

রোববার নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিএনপির স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত সাঈদ বেশ কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা সাঈদ এস্কান্দারের বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

নিউ ইয়র্ক বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বাদল বলেন, দুপুর ১২টার দিকে (নিউ ইয়র্ক সময়) ব্রুক ডেল হাসপাতালে সাঈদ এস্কান্দার মারা গেছেন।

খালেদা জিয়া দিনাজপুর থেকে ঢাকায় ফেরার সময় ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শোনেন। এসময় তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।

মেজর সাঈদ এস্কান্দার ১৯৮৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে বোন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া ফেনী-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন সাঈদ।

সাঈদ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন তিনি।

সাঈদ এস্কান্দারের জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৩ জানুয়ারি দিনাজপুরে। স্কুলজীবনেই ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তিনি ১৯৬৯ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতিও হন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর বিএমএর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে ১৯৭৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সাঈদ। ১৯৮০ সালে মেজর হিসেবে পদোন্নতি পান ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের এই কর্মকর্তা।

সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর বিএনপিতে যোগ দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে বোনের আসনে কাজ করেন সাঈদ।

২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে খালেদার ওই আসনে সংসদ সদস্য হন তিনি।

সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর ব্যবসা শুরু করেন সাঈদ এস্কান্দার। তিনি ড্যান্ডি ডাইং ও ড্যান্ডি ফুড প্রডাক্টসের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসলামিক টেলিভিশনেরও অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি।




-->