(০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ফেনীর সরকারী প্রধান দু’টি কলেজের আট হাজারেরও বেশী ছাত্রীরা ভুগছেন তীব্র আবাসন সংকটে। এদের জন্য একটি কলেজে রয়েছে মাত্র ১০০ আসনের আবাসন ব্যবস্থা। আর এই সংকটে চরম ভোগান্তির শিকার এবং পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্রীরা। ১৯২২ সালে শুরু হয় এই জনপদের উচ্চ শিক্ষার প্রথম বিদ্যাপিঠ ফেনী সরকারী কলেজের পথচলা। এখানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজারেও বেশী ছাত্রী। যাদের অনেকেই প্রতিনিয়ত প্রকৃতি আর যাতায়তের দুর্ভোগ মাথায় চেপে আসেন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। অথচ এইসব ছাত্রীদের জন্য গত ৯০ বছরেরও এখানে গড়ে উঠেনি কোন আবাসন ব্যবস্থা। জেলার আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেনী সরকারী জিয়া মহিলা কলেজটির ছাত্রী সংখ্যাও ২ হাজারের বেশী। এদের জন্য ২০০৪ সালে তৈরী করা হয় মাত্র একশ আসনের একটি হোষ্টেল। অথচ সেখানে থাকছে দ্বিগুনেরও বেশী। এখানে ভর্ত্তির পর সোনার হরিণ নামের হোস্টেলের আসন মিললেও মিলছেনা পড়ালেখার সুযোগ। আবার কলেজ দুইটির দুরদুরান্তের আবাসন বঞ্চিত ছাত্রীদের কাছে নিয়মিত কলেজে যাতায়তটাই এখন শিক্ষা গ্রহনের বড় বাধা। আর একশ আসনের মহিলা কলেজটির হোষ্টেলে যারা থাকছেন তাদেরকেও পোহাতে হচ্ছে নানান অসুবিদা, হোষ্টেলের রুম গুলোতে দুই জনের যায়গায় থাকছেন আট থেকে ৯ জন, প্রতিটি রুমে এক টি মাত্র লাইট অনেক রুমে নেই ফ্যানের ব্যাবস্থা। ফেনী সরকারী জিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ডি.এ বিলকিস আরা বললেন, তার কলেজের হোস্টেলের সুযোগ নিতেই দুর দুরান্তের ছাত্রীদের চাপটাও বেশী। একটি আসনের জন্য প্রায় ১০ টি আবেদন জমাপড়ে কিন্তু হোষ্টেলে একশ আসনের বেশী ছাত্রীর সুযোগ নেই। তার পরেও মানোবিক কারনে ছাত্রীদের একশ আসনের জায়গায় অতিরিক্ত ছাত্রীদের থাকার সুযোগ করে দিতে হচ্ছে। ফেনী জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স পর্যায়ের সরকারী ৬টিসহ মোট কলেজর সংখ্যা ২৪টি। অথচ একটি ছাড়া কোনটিতেই ছাত্রীদের জন্য সরকারী অথবা বেসরকারী ভাবে আদৌ আবাসনের নেই কোন সু-ব্যবস্থা ।