(৩০ আগষ্ট ২০১২) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ব্যবহারে আসক্ত হচ্ছে ফেনীর স্কুল কলেজগামী উঠতি বয়সীর শিক্ষার্থীরা। স্কুলে কলেজে মোবাইল আনা বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এসব আচরনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের পাশাপাশি অশ্লীল বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুন ও যুবক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। এটি শিশুদের নৈরাজ্য বা নৈতিকতার অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক বাবা মা মনে করেন, তার ছেলে-মেয়ে কিভাবে সময় কাটায় তা তারা জানেন। যদিও মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে অনেক বাবা-মা কোন খবরই রাখেন না। অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু, তরুণ ও টিনএজার মেয়েরা সোশাল নেটওয়ার্কিং, বিবিএম মেসেঞ্জিং এবং পর্নোগ্রাফিতে যে হারে আসক্ত হচ্ছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। বর্তমানে মোবাইল ফোনেই আছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। আর তাই এ সুযোগে শিশুরাও জড়িয়ে পড়ছে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে। দেখা গেছে, বেশ কতোগুলো সাইটের মাধ্যমে শিশুরা মোবাইল পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি আলোকিত বাংলাকে বলেন, ফেনীর ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের মোবাইল টেলিকমের দোকানগুলোতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে পর্নোগ্রাফি সিডি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনীর রাজাজীর দীঘীর পাড়ের সিড়ি দোকান, শহীদ মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট, এফ রহমান এসি মার্কেট, যমুনা শপিং কমপ্লেক্স সহ শহরের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানগুলো। কম্পিউটার থেকে সহজেই কপি করে মেমোরি কার্ড ও পেনড্রাউভে নিয়ে তরুন ও যুবকরা বাসায় কম্পিউটারে অথবা ডিভিডিতে পর্নোগ্রাফি দেখছে। এসকল পর্নোগ্রাফি ছবি দেখে তাদের আচরন অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। রাতে ঘুমের সময় জেগে থাকে বলে সকালে তারা ঠিকমত ক্লাস করতে পারেনা। ফলে শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এক অভিভাবক জানান, শুনেছি এসব মোবাইলে মেমোরি কার্ড দিয়ে তারা গান লোড করে থাকে গান শোনার জন্যে। আসলেই কি তাই? আর সচেতন অভিভাবকরা আছেন উদ্বিগ্নের মধ্যে। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে অনায়াসে দেখা যাচ্ছে দামী নকিয়া, স্যামসাং গ্যালাক্সি মাল্টিমিড়িয়া মোবাইল ফোন সেট। এতে করে শিক্ষার্থীরা বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের খারাপ দিক গুলো গ্রহন করছে। তাই অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। আর সংশ্লিষ্ট মোবাইল ও সিডি দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো জরুরী বলে মনে করছেন ফেনীর সচেতন মহল।