জমে উঠছে ফেনীর ঈদবাজার

(১১ আগস্ট ২০১২) ফেনীতে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। পহেলা রমজান থেকে থানকাপড় ও আনস্টিচ থ্রিপিছের দোকানে ভিড় জমলেও রেডিমেড কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরোদমে কেনাকাটা চলছে। গতকাল ফেনীর বেশ কয়েকটি মাকের্ট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতার প্রচন্ড ভিড়। শহরের প্রধান প্রধান সবগুলো মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় সব বয়সের মানুষের ভীড় ছিল। তবে কেনাকাটায় ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও সাধারন পরিবারগুলো আসতে শুরু করলেও এখনো আসতে পারেনি চাকরিজীবী পরিবারগুলো। কারণ হাতে আসেনি বেতন ও ঈদ বোনাস। তবে দোকানিরা বলছেন, ঈদ বোনাস-বেতন এখনো হাতে না পৌঁছালেও কেনাকাটা শুরু করেছেন অনেকে। ঈদের প্রথম বাজার শুরু হয় থান কাপড়ের দোকানে। এর সাথে ব্যস্ততা বাড়ে দর্জির দোকানগুলোতে। রেডিমেড পোশাক কিনলে অনেক সময়ই মাপে ঠিক থাকে না। কখনো আবার মাপে ফিট করতে গিয়ে জামার ডিজাইনটাই হারিয়ে যায়। আবার দর্জিরা রেডিমেড জামা কেটে-ছেঁটে ঠিক করে দিতেও চায় না। যার কারণে নিজের মনের মতো কাপড় কিনে পোশাক তৈরি করে নেওয়াই ভালো। বেশিরভাগ তরুণী ঈদের পোশাক বানিয়ে পরতে পছন্দ করেন। কারণ তাতে ইচ্ছামতো লেস-এমব্রয়ডারি করে ভিন্ন ডিজাইন করে নেয়ারও সুযোগ থাকে। এ প্রসঙ্গে এক ট্রেইলার দোকানের মালিক বলেন, আমরা গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে থাকি। তবে ডিজাইন ও কাপড়ের উপর পোশাকের মজুরী নির্ভর করে। এছাড়া ঈদে আমরা ইন্ডিয়ান নায়িকাদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক ও ইন্টারনেট থেকে কিছু ডিজাইন ডাউনলোড করে ক্যাটালগ তৈরি করি। যার কারণে তরুণীরা হালফ্যাশনের পোশাক বানাতে এখানে আসে। আর ডিজাইন করা পোশাক বানাতে মজুরী তো একটু বেশি দিতেই হবে। ঘুরে জানা যায়, এখানে থ্রি-পিছ তৈরির মজুরি ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও এখন ফ্যাশনে সচেতন। তারাও এখন বানিয়ে পরছে পোশাক। ঈদের পাঞ্জাবির পাশাপাশি অনেকেই শার্ট-প্যান্ট বানাতে ছুটছেন টেইলার্সগুলোতে।