(১৪ আগস্ট ২০১২) ফেনীতে নারী পাচার করে দেহব্যবসায় বাধ্য করায় কাজী এনামুল হক ও মো. নুরনবীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারক মো. হারুনুর রশিদ এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে জানা যায়, ২০০০ সালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাকড়া গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে মো. নুরনবীর সাথে ফেনীর দাগনভূঞার রঘুনাথপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের মেয়ে হাসিনা আওশর রোজির বিয়ে হয়। বিয়ের ৫ বছর পরও সন্তান না হওয়ায় নুরনবীর বন্ধু দাগনভূঞা বেতুয়া গ্রামের মৃত লিয়াকত উল্লার ছেলে কাজী এনামুল হকের যোগসাজশে চিকিৎসার কথা বলে ২০০৫ সালের ৩ মার্চ ঢাকার গোলশান হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাষাঢ়ায় বিভিন্ন বাড়িতে রেখে দেহব্যবসা করানো হয়। একই বছরের ২৫ জুলাই আসামিরা রোজিকে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী দলের কাছে বিক্রি করার চেষ্টাকালে সে পালিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে ফেনীর দাগনভূঞার বাবার বাড়ি চলে যায়। রোজির বাবা আবদুল কুদ্দুছ বাদি হয়ে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল নং-১ ফেনীর আদালতে নারী ও শিশু মামলা নং-১৫৬/০৬ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিকটিকসহ ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ শুনানির পর আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে কাজী এনামুল হক ও মো. নুরনবীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারক মো. হারুনুর রশিদ।