(১ আগস্ট ২০১২) ফেনী শহরের মার্কেট, শপিং সেন্টার, বিপনীবিতানগুলোতে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় যত্রতত্র পার্কিং করছে ক্রেতা-বিক্রেতা ও আগন্তুকরা। এতে করে পথচারীদের দূর্ভোগ ছাড়াও সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের এসএসকে রোড় ও ট্রাংক রোড়ে গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল শপিং সেন্টার। ট্রাংক রোডের শিশু নিকেতন মার্কেট, আমিন টাওয়ার, ফেনী সুপার মার্কেট (সাবেক সুরতমহল বিল্ডিং), গুলশান মার্কেট, আমেনা সুপার মার্কেট, বনানী মার্কেট, রাবি শপিং সেন্টার, রোকেয়া শপিং সেন্টার, আজিজ শপিং সেন্টার, ফেনী প্লাজা, এসএসকে রোডের জামাল মার্কেট, রহমান মার্কেট, গ্রীন টাওয়ার, জামাল ব্রেড, জগন্নাথ বাড়ী শপিং কমপ্লেক্স, হোসেন সেন্টার, জামান এন্ড রহিম প্লাজা, কাজী প্লাজা সহ এসব মার্কেটে নেই কোন সুনির্দিষ্ট গাড়ী পার্কিং ব্যবস্থা। এতে করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করছেন ক্রেতা ও আগন্তুকরা। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে এসব মার্কেট গড়ে উঠলেও পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা। কখনও কখনও সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। শনিবার এনিয়ে শহরের শাহআলম টাওয়ারের সামনে পাশ্ববর্তী জামান এন্ড রহিম প্লাজার ব্যবসায়ী স্বপনের গাড়ী রাখা নিয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। ফেনী বাজারের আলী আহমদ টাওয়ারেও পার্কিং না থাকায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেনী সুপার মার্কেটের সামনে গাড়ী রাখার কারণ জানতে চাইলে প্রাইভেটকার চালক বেলায়েত হোসেন জানান, সুনির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় আমরা রাস্তায় গাড়ি রাখতে বাধ্য হচ্ছি। বিভিন্ন সময় দেখা যায় পুলিশ যানজট নিরসনে মার্কেটের সামনে থেকে পার্কিং করা গাড়ি সরিয়ে দেয়। অভিযান শেষ হলে এসব মার্কেটের সামনে আগের চিত্রই দেখা যায়। এতে করে যানজট নিরসনে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছাইদুল ইসলাম খান বলেন, যানজট নিরসনে অতিরিক্ত ট্রাফিক মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ পার্কিং এর বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা রয়েছে।