ফেনীর ঈদ বাজারে জালটাকার ছড়াছড়ি ।

(৩১ জুলাই ২০১২) ঈদের কেনাকাটা জমতে না জমতেই প্রতারকরা নানা ফাঁদ নিয়ে মাঠে নেমেছে। ফেনীতে সম্প্রতি পরপর দুইবার জাল টাকাসহ ধরা পড়েছে কয়েকজন যুবক। আমরা বরাবরই দেখে আসছি, সারা বছর যেমন তেমন ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রতারক চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর মধ্যে জালটাকার বিস্তার অন্যতম। ঈদের বাজারে তড়িঘড়ির মাঝে ভালো করে টাকা যাচাইয়ের সুযোগ কম থাকে। এ জন্য প্রতারকরা এই সময়টারই সুযোগ নেয়। জালটাকায় প্রতারিত হয়ে ব্যক্তিবিশেষ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে জালটাকা নিয়ে অনেক কথাবার্তা হলেও এর বিস্তার রোধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাজার থেকে ১০০ টাকার নোট কিনে নিয়ে তারা তার ওপর ৫০০ টাকার নোটের ছাপ বসায়। অর্থাৎ দুটি নোটের আকার এক রকম হওয়ার সুযোগটিই নিচ্ছে প্রতারক দল। এ ধরনের সুযোগ রাখা হয় কেন সেটাই প্রশ্ন। বাজারে যে কোনো নোট ছাড়ার আগে বিশেষজ্ঞদের এসব বিষয় কি ভেবে দেখার কথা নয়? এ বছরের প্রথম দিকে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রচুর জালটাকা ধরা পড়ে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে বাংলাদেশ ব্যাংকে জালটাকা গেলো কী করে? অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তারা জালটাকা চক্রের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত এরকম সন্দেহের যথেষ্ঠ কারণ আছে। কোটি টাকার জালনোট শুধু ছাপালেই তো চলবে না। এ টাকা বাজারে ছাড়ার কৌশল ও নেটওয়ার্ক নিশ্চয়ই রয়েছে এই চক্রের। কাজেই জালটাকার বিস্তার রোধে বড় পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে। বিভিন্ন স্তরে যারা এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সবাইকেই।