(২৯ জুলাই ২০১২) ফেনী-বিলোনিয়া স্থলবন্দর কার্যক্রম নানা মুখী সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে। এই স্থলবন্দর উদ্বোধনের পর থেকে এখন পযর্ন্ত কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি এবং কি জমি অধিগ্রহন কার্যক্রমও শেষ হয়নি। বিপুল উৎসাহ ও আগ্রহে এই স্থলবন্দর কার্যক্রম শুরু করা হলেও পরিপুর্ন অবকাঠামো উন্নয়ন্, পর্যাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীর অভাব, গুদাম ঘর না থাকা , মালামাল মাপার যন্ত্র. ওয়ার হাউস নির্মান সহ বিভিন্ন সমস্যার কারনে বন্দর কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা । অবকাঠামোর দিক থেকে পরিপুর্নতা অর্জন করতে না পারায় বিলোনিয়া স্থলবন্দরের ব্যাবসায়ীরা আগ্রহ হারাচ্ছে।বিলোনিয়া স্থলবন্দর কার্যালয় থেকে জানা গেছে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর উদ্বোধন করা হলেও বর্তমানে জরাজির্ন শুল্ক ষ্টেশানের পুরাতন একটি ঘরে স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একজন রাজস্ব কর্মকর্তা , ৪ জন পরিদর্শক, ২ জন সুপারভাইজার সহ ১০ টি অনুমোদিত পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত হয়েছেন একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, একজন অফিস সহকারী, একজন পিয়ন। তবে যে তিন জন কর্মরত রয়েছেন তাদের থাকার কোন আবাসন ব্যাবস্থা নেই বলে কর্মকর্তারা জানান। বাংলাদেশ ভারতের ব্যাবসায়ীদের আমদানী রপ্তানী দুই ধরনের বানিজ্য করার কথা থাকলেও এখন শুধু মাত্র রপ্তানী কার্যক্রম চলছে। তবে রপ্তানী কার্যক্রম চলার কারনে উদ্বোধনের পর এই পযন্ত বাংলাদেশের ৫৮ কোটি টাকার সম পরিমান বৈদিশিক মুদ্রা আয় হয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আমদানী রপ্তানিকারকেরা অভিযোগ করেন যেহেতু শুধু মাত্র রপ্তানী কার্যক্রম চলছে আমদানী করা যাচ্ছেনা তাই তারা আর্থিক ভাবে কম লাভবান হচ্ছে। ব্যাপক পন্য আমদানীর সুযোগ ও চাহিদা থাকলেও ভারতের কাষ্টমস কর্মকতাদের বাধার কারনে আমদানী করা যাচ্ছনো। আমদানী রপ্তানীকারকের সাথে কথা বলে জানা যায় বিলোনিয়া স্থর বন্দররের এখনো কোন কাষ্টমস অফিস নেই । অনেক পুরাতন পরিত্যাক্ত একটি ভবনে মাত্র একজন সহকারী কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছ।েএছাড়াও জমি অধিগ্রহন না হওয়ায় এখনো স্থল বন্দর ওয়ার হাউস . ট্রাক ইয়ার্ড নির্মান করা যায়নি। বিলোনিয়ায় রপ্তানীকারক গিয়াস উদ্দিন দুলাল জানান দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালানোর জন্য এই বন্দর উদ্বোধন হলেও এখন শুধুমাত্র রপ্তানী কার্যক্রম চলছে। এখন বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট, ইট, পাথর, এবং শুটকী । তবে ভারত থেকে গরু, কাট, বাশ, সহ বিভিন্ন পন্য আমদানির সুযোগ থাকলেও ভারতের বিলোনিয়া কাষ্টমস কর্মকর্তাদের বাধার কারনে এখন শুধু মাত্র একমুখী রপ্তানি কার্যক্রম চলছে। বিলোনিয়া স্থল বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান উদ্বোধনের পর থেকে ভারতে ইট, সিমেন্ট, পাথর, শুটকী রপ্তানী করে গত অর্থ বছর পযন্ত প্রায় ৫৮ কোটি টাকা বৈদীশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। তিনি জানান ভারত থেকে এখন পযন্ত কোন পন্য বাংলাদেশে আসেনি। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জানান বিলোনিয়া স্থল বন্দরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অবকাঠামো গত সমস্যা তিনি জানান বর্তমানে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদেরও থাকার কনো ব্যাবস্থা নেই পর্যাপ্ত অফিস ঘর নেই, সবাই একই কক্ষে কাজ করতে হয়। এছাড়া বন্দর কার্যক্রমের জন্য নতুন কোন ধরনের অবকাঠামো নির্মানের হয়নি। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আহাম্মদ খান জানান, বিলোনিয়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো সহ ওপেন ইয়ার্ড করার জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহনের পক্রিয়া চলছে।তিনি জানান বন্দরের অবকাঠামো নির্মান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে ।আমদানী রপ্তানী কারকরা জানান প্রতিদিন গড়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশ টি ট্রাক মাল উঠা নামা করা হয় কিন্তু জায়গা স্বল্পতার কারনে এক সাথে তিন চারটির বেশী ট্রাকে মাল লোড আনলোড করা যায়না। তাছাড়া শুধু মাত্র বাংলাদেশের অংশে মালামালা লোড আনলোড করা যায় ভারতের অংশে ট্রাক ঢুকতে দেয়া হয়না।বিলোনিয়া স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারন সম্পাদক তছলিম জানান ট্রাকে মালামাল লোড আনলোড এ বন্দর শ্রমিকদের র্দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।