(১৮ জুলাই ২০১২) ফেনীতে ঝুমুর বেগম (১৩) নামে এক কাজের মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন শেষে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফেনী শহরের পেট্রোবাংলার পূর্ব উকিল পাড়ার মজুমদার ভবনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতো ঝুমুর বেগম (১৩),, মজুমদার ভবনের মালিক জহিরের স্ত্রী শবেবরাতের রাতে (৬ জুলাই) বাবার বাড়ী যাওয়ায় ঘর খালি থাকায় জহির কাজের মেয়ে ঝুমুর করে ধর্ষন ও পাশাবক নির্যাতন করে। ঝুমুরের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হলে পরদিন তাকে স্থানীয় ভাবে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষুধ খাওয়ানো হয়। দিনদিন ঝুমুরে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে মজুমদার ভবনের পাশবর্তী গনি হাজারীর বস্তিতে কাজের মেয়ের মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঝুমুরের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। ঘটনাটি জানাজানি হবার আগে বাড়ীর মালিক জহির ঝুমুরের লাশ দাফনের জন্য ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর থেকে মৃত্যু সনদ নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে নেত্রকোনার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর সময় জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে জহির ও মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। নিহত ঝুমুর নেত্রকোনা জেলার কলমাডাঙ্গা উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের হারপুর গ্রামে ফজলুল মিয়া ও ছবুরা বেগম এর মেয়ে। নিহতের মা ছবুরা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ে অসুস্থ থাকায় মৃত্যু হতে পারে। তবে তিনি এ ব্যাপারে কাউকে অভিযোগ করতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্ধা জানান, জহির মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঝুমুরের পরিবার ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগীতায় ঘটনাটি ঢামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। ঘটনার পর থেকে জহিরের বাসায় তালা ঝুলছে। জহির ছাগলনাইয়ার উপজেলার জমাদ্দার বাজারের আজাদ ডিজিটার কালার ল্যাব’র সত্বাধিকারী। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈনুল আবসার জানান, পুলিশ স্থানীয় অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবারের সহযোগীতায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুপুরে পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঝুমুরের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ না দিলে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম গিটাররের বক্তব্য নেয়োর জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।