লোমহর্ষক ঘটনা: স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর চার টুকরা - ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

(২২ এপ্রিল ২০১২) স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর চার টুকরা করে কার্টুনে ভরে চট্রগ্রাম থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ সাইফুল ইসলাম জুয়েল নামের ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার রাতে শুভপুর ব্রিজের কাছে সিএনজি অটো রিক্সাসহ জুয়েলকে আটক এবং নিহত ফারহানা ইয়াসমিন মিলির লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, জুয়েল চট্রগ্রামের শিপ ইয়ার্ডের শ্রমিক। সে সেখানকার বন্দর থানার নিউ মুড়িং আবাসিক এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী মিলিকে নিয়ে থাকতো। জুয়েল প্রায় তিন বছর আগে প্রেম করে বাগের হাটের রামপাল থানার ঝনঝনিয়া গ্রামের শেখ মহি উদ্দিনের মেয়ে মিলিকে বিয়ে করে। গত এক বছর আগে জুয়েল সালমা নামের আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করলে মিলির সাথে জুয়েলের দাম্পত্য কলহ চলতে থাকে। এ কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মিলিকে ঘুমন্ত আবস'ায় গলাটিপে হত্যার দুই দিন পরে লাশটিকে ছুরি দিয়ে কেটে চার টুকরা করে বাসার রেফ্রিজেরেটরএ রেখে বাকি দুই টুকরো মাছ বহনের কর্কসিটের কার্টুনে করে দুই টুকরো জুয়েল তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ বল্লভ পুর নিয়ে আসছিল। জুয়েল পুলিশের কাছে অবলীলায় স্বীকার করে লোমহর্ষক হত্যার কথা।
ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ বলেন তিল্লাসীর সময় জুয়েলের দাবী ছিল কার্টুনে মাছ। জুয়েল পুলিশকে জানিয়েছে এ কার্টুন দুটিতে মিলির বাবার বাড়ি থেকে মাছ পাঠানো হয়ে ছিল।