পরশুরামে ব্র্যাক অফিস কক্ষে এক ষ্টাফকে ধর্ষনের ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড়।

(২০ এপ্রিল ২০১২) : ব্র্যাকের উপজেলা কার্যালয়ে হিসাব রক্ষক পদের এক নারী কর্মীকে ধর্ষনের একটি ভিডিও চিত্র প্রকাশ হওয়ায় পরশুরাম উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গোপন মুঠোফোনে ধারন করা ভিডিও টি পরশুরাম বাজারের একটি মোবাইল দোকানে এডিটিং করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। অশ্লীল ভিডিও চিত্রটি এখন উপজেলার শতশত লোকজনের হাতে চলে গেছে। গত সোমবার উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গেলে ওই দিন সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়র ব্র্যাকের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ঘটনার সত্যতা প্রমান পায়। ভিডিও চিত্রটি দেখে পরশুরাম উপজেলা ব্র্যাকের উপজেলা কার্যালয়ের ব্যাবস্থাপক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী সহ ব্র্যাকের সাথে সংলিষ্ট সকলেই নিশ্চিত করেছেন ওই নারী কর্মী এ্ই শাখায় হিসাব রক্ষক হিসাবে কর্মরত । অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী কর্মীকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ব্র্যাক ঢাকা অফিসে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে শাখা ব্যাবস্থাপক জানিয়েছেন। ভিডিও চিত্রটি বিশ্লেষন করে দেখা গেছে ভিডিও চ্রিত্রটিতে ধারন কৃত কথা অষ্পষ্ট তাছাড়াও বাংলা ভাষার কিনা তাও ষ্পষ্ট নয়। ভিডিও চিত্রটি হয়তোবা এডিটিং করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এবং ব্র্যাকের কর্মকর্তা কর্মচারী ও উপজেলার অসংখ্য লোকজন নিশ্চিত হয়েছে ভিডিও চিত্রের ওই নারী ব্র্যাকের কর্মী।

সচেতন মহল দাবি করছেন যেহেতু বিষটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য রয়েছে তাই এই ভিডিও চিত্রের প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করা উচিত কারন এই ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা প্রয়োজন। তাছড়াও ওই ভিডিও চিত্রের নারী এই ব্যাকের কর্মী কিনা। এবং ঘটনাটি ব্র্যাকের অফিস কক্ষের কিনা। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ব্র্যাক ম্যানজার ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগন ভিডিও চিত্রে নারী কর্মী তাদের হিসাব রক্ষক বলে নিশ্চিত করলেও প্রকৃত পক্ষে আসলে ভিডিও চিত্রের সেই নারী ব্র্যাকের নারী কর্মী কিনা তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরশুরাম উপজেলার সলিয়া গ্রামে অবস্থিত ব্র্যাক অফিসের একটি কক্ষে অফিসের এক কর্মীকে ধর্ষনের একটি দৃশ্য ওই মশ বখাটে তার অপর এক সহযোগী মুঠোফোনে ধারন করে তা বাজারের ছেড়ে দিয়েছে। জানা গেছে ঘটনার সাথে দুইজনেই পরশুরাম ব্র্যাক অফিসের কর্মরত আছেন। একজন বর্তমানে কর্মরত থাকলেও অন্যজন অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। তবে পুরুষ কর্মকর্তা ব্র্যাক অফিসের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হওয়ায় স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তারা তার পরিচয় গোপন করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বখাটেরা ওই ভিডিও চিত্র দিয়ে ওই নারী কর্মীকে ব্লেকমেইল করেছে বলে ধারনা করছে স্থানীয় লোকজন। গত সোমবার সকালে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়র ব্র্যাকের কার্যালয়ে গেলে ব্যাকের শাখা ব্যাবস্থাপক ফরিদ আহাম্মদ সহ শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ মাঠ কমীর্রা মুঠোফোনের দৃষ্যটি দেখে নিশ্চিত হয়েছে ঘটনার শিকার নারী পরশুরাম ব্র্যাক অফিসের হিসাব রক্ষক। তবে ভিডিও চিত্রের অপর পুরুষ কে তারা চিনেননা বলে জানিয়েছেন। মুঠোফোনে ধারন কৃত দৃশ্যে দেখা গেছে ওই কর্মকর্তা অফিসের ষ্টাফকে ধর্ষন করলেও ওই কর্মকর্তার যোগ সাজসে ব্যাক অফিসের কক্ষে অপর একজন গোপনীয় ভাবে মুঠোফোনে ধারন করেছে। তবে দৃষ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে ব্র্যাক অফিসের কর্মকর্তার যোগসাজসে ওই ভিডিও মুঠোফোনে ধারন করা হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে অবগত একজন জানান বিষয়টি গোপনীয় ভাবে ধারন করা হলেও কর্মকর্তা পরশুরাম বাজারের একটি মোবাইল ফোন দোকানে গিয়ে ভিডিও চিত্র টি কে এডিড করতে গেলে তা প্রকাশ হয়ে যায় এবং মানুষের হাতে হাতে চলে যায়। সোমবার বিকেলে ব্র্যাক এর ফেনী শীর্ষ কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র এর সাথে দেখা করে বিষয়টির সোরাহ করার অনুরোধ জানান। স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেছেন ওই পুরুষ কর্মীকে গত কয়দিন আগেও তারা পরশুরাম বাজারে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে। তারা ধারনা করছেন ওই ভিডিওর পুরুষ কর্মী ওই নারীকে ব্লেকমেইল করার জন্য এই ভিডিওটি বাজারে ছেড়ে দিয়েছে।