ফেনী পিটিআইতে শিক্ষক লাঞ্চিত ও ইভটিজিংয়ের দায়ে এক বখাটের জেল জরিমানা

(১ জুন ২০১১) ফেনী প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউটের (পিটিআই) মেরামত কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের কর্মচারী কর্তৃক প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষিকাদের উত্যক্ত করা এবং এক শিক্ষককে (ইনস্টাক্টর) লাঞ্চিত করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত ওই কর্মচারীকে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোঃ জহিরুল ইসলাম মঙ্গলবার পিটিআই তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আদালত বসিয়ে এ রায় প্রদান করেন।
ফেনী প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউটের (পিটিআই) ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার দুপুরে পিটিআইয়ের প্রশিক্ষক মোঃ মোস্তফা মহিলা হোষ্টেলের পাশে ময়লা- আবর্জনা পরিস্কার ও বাগান পরিচর্যার কাজ তদারকি করতে যান। এ সময় ইনষ্টিটিউট এর মেরামত কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের কর্মচারী মোঃ মানিক হোষ্টেলের দেওয়ালে রঙের মধ্যে ফোটা-ফোটা কাদামাটি কেন লেগেছে তা জানতে চেয়ে প্রশিক্ষক মোস্তফাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানিক প্রশিক্ষকের গলা চেপে ধরে এবং ‘দা’ দিয়ে কোপাতে উদ্যত হয়। এ সময় প্রশিক্ষনার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে ও মানিককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আহম্মদ আল মামুন ও ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকরা অভিযোগ করেন,ঠিকাদারের কর্মচারী মানিক কাজ তদারকি করার সুযোগে প্রতিনিয়ত মহিলা প্রশিক্ষনার্থীদের নানাভাবে উত্যক্ত করে।প্রশিক্ষনার্থীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নিকটও লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন। তাছাড়া মহিলা প্রশিক্ষনার্থীদের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পিটিআই তত্ত্বাবধায়ক মোঃ রাইহুল করিম তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন বলে কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেনী পিটিআইয়ের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দন্ডবিধির ৩৫৩ ও ৫০৯ ধারায় ঠিকাদারের কর্মচারী মোঃ মানিককে এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড,পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা-অনাদায়ে আরো ১০ দিনের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
পরে আসামী মানিককে ফেনী থানা পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। মানিক সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।