ফেনীতে ইসলামী ব্যাংকে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ড ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ
(২৮ মে ২০১১)ফেনীতে গত রবিবার শহরের এসএসকে সড়কে ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গণপিটুনীতে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ এখনও সনাক্ত করতে পারেনি। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যাকান্ডে জড়িতদের সনাক্ত করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরদিন সোমবার গ্রেফতারকৃত ব্যাংকের ম্যানেজার শহীদ উল্যা মজুমদার ও সেকেন্ড অফিসার আবদুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এ ব্যপারে সন্তোষজনক তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। বুধবার দ্বিতীয দফায় গ্রেফতারকৃত নিরাপত্তা রক্ষী আবু সাইদ (৫০) ও শাহাদাত হোসেন (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আলম ফেনীর সময়-কে জানান, গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। রবিবার রিমান্ড আবেদন শুনানীর ধার্য্য তারিখ। তার মতে রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ব্যাংকে ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখেও পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে। তদন্তকারী সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জব্দকৃত এই সিসি ক্যামেরায় ওইদিনের ৭ ঘন্টার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ তারা দেখেছেন। তবে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওই ফুটেজে ধারণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী টিটুকে আটকের পর মারধর করে তার সাথে থাকা জনৈক বৃদ্ধ গ্রাহক সফি উল্যাহর একাউন্ট থেতে জালিয়তি করে উত্তোলিত ৭৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে তাকে স্টোরে রুমে আটকে রাখা হয়। এখানে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী দফায় দফায় টিটুকে নির্যাতন চালায়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা সে ওই রুমে আটক থাকার পর মূর্মুর্ষ অবস্থায় তার আত্মীয়-স্বজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় নেয়ার পথে টিটু মারা যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, স্টোর রুমে সিসি ক্যামেরা না থাকায় নির্যাতনের ওই অংশ ভিডিওতে নেই। তারা আরো জনান, ইতিপূর্বে টিটু আরও কয়েকজন গ্রাহক থেকে একই কায়দায় নেয়া টাকা উদ্ধার করতেই তাকে স্টোর রুমে আটকে রেখে মারধর করে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছিল এবং তার স্বীকরোক্তি অনুযায়ী তার স্বজনরা পূর্বের আরও ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে তাকে উদ্ধার করে। এতে সময় ক্ষেপনের কারণেই টিটুর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকে।
Labels:
অপরাধ / অনিয়ম / দুর্নীতি
