ফেনীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট

(২৭ মে ২০১১)ফেনীতে একরাতে পৃথক ৭ টি ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। পৌরসভার পূর্ব মধুপুর ও পশ্চিম রামপুরে ৪ বাড়িতে এবং দাগনভূঞার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের ৩ বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই সময় দুবৃত্তরা অন্ততঃ ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
পুলিশ,এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ সূত্রে জানা গেছে,বুধবার রাত আড়াইটার দিকে পূর্ব মধুপুরে সাবেক কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ীতে দুবৃত্তরা হানা দেয়। তারা ওই বাড়ীর কালিপালের ব্যবসায়ী একরামুল হক ভূঞা ও তুরানের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এসময় তারা একরামুল হককে মারধর করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একই সময়ে শহরের এসএসকে সড়কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী আবদুল হক সওদাগর বাড়ীতে দুবৃত্তরা ছাদের উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। একপর্যায়ে ঘরের লোকজনকে জিম্মি করে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ফেনী পৌর এলাকার পশ্চিম রামপুরে হানু হাফেজের বাড়িতে রাত দেড়টার দিকে ডাকাতদল হানা দেয়। তারা ওই বাড়ীর এনাম ও করিমের ঘরের গ্রীলের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে ঘরের লোকজনকে জিম্মি করে। এনামের ঘর থেকে প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ টি মোবাইল ফোন এবং করিমের ঘর থেকে দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুল হক খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলেও দুবৃত্তদের আটক করতে পারেনি। অন্যদিকে একই রাতে দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দেবরামপুর গ্রামে এনামুল হকের বাড়ীতে কলাপসিবল গেইট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে নগদ ৩ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার সহ দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। একই রাতে এনায়েতপুর গ্রামে সোহরাওয়ার্দীর বাড়ীতে দাগনভূঞার ব্যবসায়ী শাহজাহানের ঘরে জানালা দিয়ে বন্দুক ঠেকিয়ে দরজা খুলতে বাধ্য করে। তারা নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পাশ্ববর্তী বিজয়পুর গ্রামে আবুল কাশেমের নতুন বাড়ীতে কলাপসিবল গেইট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ হিমাংশু কুমার দাস জানান,তিনি ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।