(৫ মে ২০১১): দ্রব্যমূল্যে উদ্ধগতিতে নাভিশ্বাস বেড়েছে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত
পরিবারের। আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যায় মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এ সকল
ক্রেতাদের।
সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ফেনী শহরের বড় বাজার, মুক্ত বাজার, হর্কাস
মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে ফেনীর
বাজারে কাঁচা পন্যের দাম কমেছে বলে বিক্রেতারা দাবী করছেন। তবে ক্রেতারা
বলছেন কাচাঁ পন্যের দাম আগের মতই আছে। বাজারে মাছ মাংসের দাম রয়েছে
স্থিতিশিল।
কাচাঁ সবজির দাম কেজিতে ২/৪ টাকার পার্থক্য লক্ষকার গেছে। তিত করলা ১৫-১৬,
বরবটি ১৬-২০, বেগুন ১৬-২০, ঝিঙ্গা ২২-২৬, ঢেঁরশ ১৬-২০, পটল ২০-২২,
চিচিঙ্গা ২০-২৪, আলু ৮-১০, মিষ্টি আলু ১৬-১৮,কাকরল ৩৪-৩৮, টমেট ১৮-২২,
ধুন্দুল ২০-২২, শশা ১৬-২০, পেঁপেঁ ১৫-১৬, লতি ২০-২২, মিষ্টি কুমড়া ১২-১৪,
চাল কুমড়া ২৫-২৭, গাজর ৩৬-৪০, কাঁচা মরিচ ২২-২৬, ধনিয়াপাতাঁ ৫০-৫৫, কাঁচা
কলা (হালি) ১৫-১৬, লেবু (জোরা) ৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের একাডেমী রোডের বাসিন্ধা মাছুমা রহমান মনি ফেনী বড় বাজারে কাঁচা
শবর্জির মূল্য সম্বন্ধে জানান,সাংবাদিকদের দেখে বিক্রেতারা দাম কম বলছে।
আপনারা (সাংবাদিকরা)-চলে গেলে আমাদের মত ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মূল্য
নিচ্ছে বিক্রেতারা। এদিকে মাংসর দাম আগের মতোই আছে। মুরগী দেশী ২৬০-২৭০,
বয়লার ১১৫-১২০, লেয়ার ১২৫-১৩০, কর্ক মুরগী ১৮০-১৯০, খাশির মাংস ৩৩০-৩৫০,
গরুর মাংস ২৮০-৩০০, কবুতর জোড়া ১৫০-১৬০। আগের সাপ্তাহের চেয়ে ডিমের দাম
শতে ৩০/৪০ টাকা কমেছে। ফার্মের মুরগীর ডিম শত ৫৩০, দেশী মুরগীর ডিম ৭০০,
হাঁসের ডিম ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রেল গেইট বাজারের মুরগী বিক্রেতা
মির হোসেন রাসেল মুরগীর’র দাম গত সাপ্তাহের মত অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপরদিকে মাছ বাজারেও একই আবস্থা। ইলিশের কেজি ৪৫০-৫০০, কাতল (বড়) ৩৫০-৩৬০,
কাতল (ছোট) ২২০-২৫০, দেশী রুই ৩৬০-৩৮০, চিংড়ি (বড়) ৯০০-১০০০, চিংড়ি (ছোট)
৫২০-৫৫০, রুপ চাঁদা ৪৮০-৫০০,কঁই ১৭০-১৮০, তেলাপিয়া ৮০-১৬০, শিং ৫৫০-৬০০,
মাগুর ৬৫০-৭০০, পাঁঙ্গাশ ৯০-১০০, টেংরা ৩৫০-৪৮০, কাঁচকি ১৮০-২০০ টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে।
শহরের মাষ্টার পাড়ার বাসীন্ধা জিয়া উল হক মুক্ত বাজারে মাছ কিনতে এসে বলেন মাছের যে দাম তাতে আমাদের মত মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে।
এদিকে ভোজ্য তেলের বাজার অপরিবর্র্র্তিত রয়েছে। প্রতি লিটার খোলা তেল ১১০,
পলি বেগ ১১৫, ৫ লিটার তেল ৫৬০-৫৬৫ টাকায় বিক্রী হচ্ছে।ক্রেতাদের একটাই
দাবি বানিজ্য মন্ত্রী চেয়ারে বসে বক্তব্য না দিয়ে বাজার এসে মূল্যের দাম
জেনে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।

