ফেনীতে চ্যানেল আইয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবদুল
কুদ্দুস খান বলেছেন, বেসরকারী চ্যানেল গুলো সম্প্রচার শুরুর পর মানুষ আশার
আলো দেখছে। চ্যানেলগুলো সংবাদ পরিবেশনায় বড় ধরণের বিপ্লব এনেছে।
কর্মসংস্থান হয়েছে দেশের অনেক মানুযের। এখন মানুষ খবর দেখার জন্য আগ্রহ ভরে
অপেক্ষা করে। অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলোও সৃষ্টিশীল আন্তজার্তিক মানের হতে
হবে। রাজনৈতিক ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন
করতে হবে। গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও শিকড়, বাঙ্গালী সাংস্কৃতির
নানাদিক তুলে ধরতে হবে। এতে চ্যানেল গুলো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিবে।
তিনি বৃহস্পতিবার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম ফেনীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি কেবিএম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি
ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএস মৈন্যুর, জেলা তথ্য অফিসার
মাহবুবুর রহমান, ফেনী প্রেসক্লাব সভাপতি একেএম আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক
বখতেয়ার ইসলাম মুন্না। বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক হকার্স সম্পাদক নুরুল করিম
মজুমদার, প্রথম আলো ফেনীর ষ্টাফ রিপোটার আবু তাহের, সাপ্তাহিক স্বদেশপত্র
সম্পাদক এনএন জীবন, শান্তি নিকেতন ক্যাডেট ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ এম মামুনুর
রশিদ, কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব কবির
হুমায়ুন, ইনকিলাবের আঞ্চলিক প্রধান আবদুল হক, ফেনী পয়েট সোসাইটির সভাপতি
মাহবুব আলতমাস, চ্যানেল আই দর্শক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন
খোকন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চ্যানেল আই এর ফেনী প্রতিনিধি রবিউল হক রবি।
এর আগে সকালে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর শান্তি
নিকেতন ক্যাডেট ইনষ্টিটিউট থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান
সড়ক প্রদিক্ষিণ শেষে ফেনী প্রেসক্লাব চত্তরে বেলুন উডিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন
করেন জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে কেক কেটে চ্যানেল আইয়ের জন্মদিন পালন করা হয়।
শেষে আর্য সংগীত এর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।