ফেনী শহরের আনাচে কানাচে বিক্রি হচ্ছে ফেন্সিডিল, হেরোইন, গাঁজা, বাংলা মদ সহ বিভিন্ন ধরনের মরন নেশা। ফেনী শহরের ভিআইপি রোড নামে খ্যাত ফেনী সার্কিট হাউজ রোড ও তৎসংলগ্ন কমার্সিয়াল কলেজ রোডে দিনে-দুপুরে বিক্রি হচ্ছে হেরোইন ও ফেন্সিডিল। এখানকার মাদক বিক্রেতারা নির্দিষ্ট কোন স্পষ্টে মাদক নিয়ে না বসে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে সুবিধাজনক স্পষ্ট থেকে মাদক হাতবদল করে থাকে। হেরোইনসেবীদের উৎপাতে এইসব এলাকার এলাকার জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই এলাকার বাড়ি-ঘরের পানির কল থেকে শুরু করে বাইরে রোদে দেওয়া কাপড় চোপড় এমনকি বাড়ি-ঘরের পানির ফাইভ ও উদ্বিত রড পর্যন্ত হেরোইনসেবীরা তাদের নেশার টাকা সংগ্রহ করতে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগে সার্কিট হাউজ রোডের হাশেম মঞ্জিলে চুরি করার সময় ৩ জন মেয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে, ধারা পরা মেয়েরা জানায় নেশার টাকা যোগাড় করতে তারা এ পথ বেছে নিয়েছে।
মহিপালের বদ্য বাড়ি, ওয়াপদা গেইট, চৌধুরী বাড়িতে ফেন্সিডিল বিক্রি হচ্ছে, ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকায় ফেন্সিডিল এর পাশাপাশি প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বাংলা মদ ও গাঁজা। মহিপালের চট্রগ্রাম বাসষ্টেন্ড এলাকায় লাইসেন্স ধারী মদ বিক্রির দোকানে সরকারী নিয়মনীতি উপো করে দেদারছে মদ বিক্রি হচ্ছে।
মহিপাল ছাড়া ফেনী শহরের ফেনী বাজারের কসাইখানা, আন্ধিপুকুর, রামপুর শাহিন একাডেমি রোড, পুরানো পুলিশ কোয়াটারের মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের আশেপাশে,কলেজ রোড, তাকিয়া রোডের পিকআপষ্টেন্ড, কালিবাড়ি এলাকা, রেলওয়ে ষ্টেশনের বস্তি ও এর আশেপাশে বিভিন্ন এলাকা,ট্রাংক রোড সৌদিয়া হোটেলের সামনে, মিজান রোডের কাজমির বাসার সামনে, ফলেশ্বর, একাডেমির সৈয়দ নগর, ষ্টেডিয়াম ও ফারুক হোটেলের আশেপাশে, হাঙ্কার এলাকায় খানকা শরীফের আশেপাশের নির্দিষ্ট ও অনির্দিষ্ট স্পর্ট থেকে প্রতিদিন মাদক বিক্রি হচ্ছে।
শহরের প্রভাবশালী চেনাজানা মুখ গুলো নিজেদের মাদকাসক্তির চেহারাটি লুকিয়ে রাখার জন্য শহরের ট্রাংক রোডের সুপার মার্কেট এর ৩য় তলায়, কেউ কেউ দুপুরের পর থেকেই মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার যোগে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সির হাট বাজার, পরশুরাম উপজেলা বাজার, ফেনী সদর থানার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা, মোহাম্মদ আলী বাজার ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দত্তসা, পদুয়া রাস্তার মাথা ও চিওড়া পর্যন্ত বিশ্বরোডের বিভিন্ন স্পর্ট থেকে মোবাইলের মাধ্যমে স্পষ্ট নির্ধারন করে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে থাকে।
ফেনীর সচেতন মহল মাদক দ্রব্য বিক্রয় বন্ধের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।