ফেনীতে এক সপ্তাহে তিনটি শতবর্ষী মেহগনি গাছ উধাও !

(৯ আগষ্ট ২০১২) ফেনী শহরের কেন্দ্রস্থল ট্রাংক রোড থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে রাতের আধারে পর পর তিনটি শতবর্ষী মেহগনি গাছ উধাও হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বন বিভাগ ও জেলা পরিষদের চোখে ফাকি দিয়ে কে বা কারা কখন কিভাবে গাছগুলি গোড়াসহ কেটে নিয়ে গেছে তা কেউ বলতে পারছেনা। এ ঘটনায় শহরের বাকী গাছগুলি নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুত্র জানায়, গত কয়েক দিনে শহরের কেন্দ্রস্থল ফেনী প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন গ্যান্ড ট্রাংক রোডের পাশের শতবর্ষী পুরানো লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি মেহগনি গাছ কে বা কারা রাতের আধারে গোড়াসহ কেটে তুলে নিয়ে গেছে। দুই দিন পর একই সড়কের রাজবাড়ী গেইটে দ্বীপ্তি ফার্মেসীর সামনে থেকে একই কায়দায় আরো একটি শতবর্ষী মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। তারও দু’দিন পর ফেনী মডেল থানা থেকে মাত্র একশত গজ দূরে একই সড়কের মুক্তবাজার এলাকা থেকে আরো একটি গাছ দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে। পর পর তিনটি শতবর্ষী মূল্যবান মেহগনি গাছ দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়ে যাওয়র পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব ভুমিকা সাধারন মানুষের মধ্যে নানা গুঞ্জন চলছে। সড়কের পাশের শতবর্ষী পুরানো এ গাছ গুলির মালিকানা জেলা পরিষদ ও সড়ক বিভাগের বলে জানা গেলেও ফেনী জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি গাছ চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানায়। শহরের কেন্দ্রস্থল ট্রাংক রোড থেকে এক সপ্তাহে তিনটি শতবর্ষী পুরানো মেহগনি গাছ উধাও হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা রেজাউল করিম জানান, গাছগুলো বন বিভাগের অধীনে নয়। কে কেটে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ফেনীস্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এনামুল হক জানান, শহরের কেন্দ্রস্থল ট্রাংক রোডের গাছগুলি সড়ক বিভাগ ও জেলা পরিষদের যৌথ মালিকীয়। রাতের অন্ধকারে এ ভাবে গাছ উধাও হওয়ার ঘটনায় তিনি ফেনী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছেন।