ফেনীতে রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনাই জলাবদ্ধতার প্রধান কারন।

(২৩ জুলাই ২০১২) ফেনী শহরের বিভিন্ন সড়কে একটু বৃষ্টিতে রাজপথে হাঁটুপানি! মাত্র এক/দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় ফেনী শহরের বিভিন্ন এলাকা। এর মূল কারন রাস্তার পাশের ময়লা আবর্জনা। যদিও চলতি মৌসুমের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত এক/দেড় ঘন্টার বৃষ্টি; কিন্তু তাই বলে এতো অল্প সময়ের বৃষ্টিতে এই বেহাল দশা? একটু বৃষ্টিতেই হাটুপানি হয় নাজির রোড়, মিজান রোড় (জেলা পরিষদের সামনে), শান্তি কোম্পানি রোড়, এস.এস.কে রোড়, হাজারী রোড়, সদর হাসপাতাল এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কগুলো। জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। নগরীর অধিকাংশ স্থানে তীব্র যানজট দেখা যায়। কোথাও কোথাও এক ঘণ্টার পথ যেতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। সবচেয়ে হতাশার কথা হলো প্রতি বর্ষাতেই আমাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়। শহরবাসীর কাছে বর্ষা মানেই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে ময়লা পানিতে নাকানি-চুবানি খাওয়া। অথচ জলাবদ্ধতার কারণগুলো কারোরই অজানা নয়। প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, সময়মতো কাজ না করা, যেসব ড্রেন রয়েছে সেগুলোও পরিষ্কার না রাখাই জলাবদ্ধতার আসল কারণ। ডাস্টবিনের পাশে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেন না। আর কর্তৃপক্ষ যেসব ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তা যে প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না তা একটু বৃষ্টি হলেই বোঝা যায়। জানা যায়, ফেনীতে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে তাতে ঘণ্টায় মাত্র ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটি শহরে এতো অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকবে কেন? আর জলাবদ্ধতা যেহেতু ফেনীর অন্যতম এবং পুরনো একটি সমস্যা তাহলে এই সমস্যা দূর করতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন? আমরা মনেকরি, জলাবদ্ধতা দূর করতে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বিশেষ করে যেসব এলাকা অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় এসব এলাকায় জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ ব্যাপারে সচেতন শহরবাসী পৌরমেয়রের সুদৃষ্টি হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তবে পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহে প্রতিনিয়ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চলছে। পাশাপাশি ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখতে জনসাধারণের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।