ফেনী চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য হতে রেকর্ড পরিমাণ আবেদন

(০৪ জুন ২০১১)ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য হতে রেকর্ড পরিমাণ আবেদন পত্র জমা পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ছিল আবেদন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ ক্যাটাগরীতে ৯ শত ৪১ ও সহযোগী ক্যটাগরীতে ১ হাজার ২’শ ২৮ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বৃহস্পতিবারের পরে আবেদন পত্র জমা দিয়ে সদস্য হতে পারলেও আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকবে না। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ধারিত তারিখের আগেই সদস্যভূক্তির আবেদনপত্র জমার হিড়িক পড়ে যায়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ফেনী চেম্বার অব কমার্সের ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৮’শ। যা এবার ২ হাজার ১’শ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ আবেদনকে চেম্বার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র সমূহের মতে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজস্ব উদ্যোগে অধিকাংশ আবেদন করেছেন। এসব আবেদনে ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কাগজপত্রও সঠিক নেই বলে জানা গেছে। অনেকের মতে দলভারী করতে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে তড়িগড়ি জমা দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য ৩টি প্যানেলের নেতারা গত কয়েকদিন ধরে মরিয়া হয়ে টিআইএন ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন। একটি টিআইএন এর বিপরীতে একাধিক ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে একাধিক সদস্য হওয়ার সুযোগ নিয়ে অনেকেই ভূয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ভোটার হওয়ার কূটকৌশল করছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার আবেদনপত্র জমা শেষে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কয়েকজন ব্যবসায়ী আবেদনকারীর সংখ্যা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তারা জমাকৃত আবেদন ও সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সদস্য তালিকা করার জন্য চেম্বার নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন ফেনীর সময়-কে জানান, সদস্য যাচাই-বাছাই করতে একটি উপ-কমিটি রয়েছ। ওই কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক ও ফেনী চেম্বার অব কমার্স এর সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা ফেনীর সময়-কে জানান, আজ শনিবার তিনি উপ-কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। ভূয়া কাগজপত্র সনাক্ত হলে তার আবেদনপত্র বাতিল করা হবে।