(৪ মে ২০১১)আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়া ছোড়ির কারনে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসছে না আসবে ও না। রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের শালীন বিনয়ী আন্তরিক ও ত্যাগী মনোভাবী হয়ে একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি গত রবিবার সকালে উপজেলার আতাতুর্ক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিশারী পরিচালিত মাহমুদা মিলন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন , রাজনীতির নামে আজ দেশে বিভক্তি, বিদ্বেষ শক্রতা হানাহানি ও কটু কথা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা একে অপরকে আক্রমন করছি । আমরা রাজনীতিবিদরা রাজনীতির নামে কুৎসা রটাচ্ছি। সন্ত্রাস কায়েম, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও কালো টাকার পাহাড় গড়ছি। তিনি আরো বলেন, আমরা সংসদ সদস্যরা সংসদে গালাগাল করি এতে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসার আগ্রহ হারাচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে কিছুই জানাতে পারছিনা । আইন করে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায় কিন্তু কটুকথা বিদ্বেষ বন্ধ করা যায়না। বিরোধী দলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন , লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এদেশ আজ বিশ্ব দরবারে খাটো হয়ে পড়েছে। আজ সংবিধান উপেতি । সংবিধান সংশোধনে আপনারা মতামত দিন ভূমিকা রাখুন। সংবিধান কারো একার নয়, কোন দলের নয়। এটি সব দলের সব মতের অভিন্ন জাতীয় সম্পদ । সংবিধান ষোল কোটি মানুষের সম্পদ । তিনি আরো বলেন, সবার আগে দেশ। আসুন আমরা এদেশকে রায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। এদেশের মানুষের ক্ষুদ্র তিনটি চাহিদা। তারা একটু খাদ্য চায় , শান্তিতে ঘুমাতে চায়, চায় নিরাপত্তা । সাধারণ এই মানুষগুলোর চাহিদা বাস্তবায়নে আমাদের নতুন প্রজন্মকে তৈরী করতে হবে। এসব ইস্যুতে আমাদের ঐকমত্য দরকার । বিদ্যুৎ প্রসংগে তিনি বলেন, মে মাসে একহাজার এবং ডিসেম্বর নাগাদ আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে তখন সমস্যার সমাধান না হলেও সহনীয় পর্যায়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর সংশোধন নীতি প্রসংগে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার সংশোধন নীতিতে বিশ্বাসী । আঁড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর করার সিদ্ধান্ত বাতিল সংশোধন নীতিরই বহিঃ প্রকাশ । জনপ্রতিনিধি ও তার দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সাথে খারাপ আচরন করলে তার কপালে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন জুটবেনা। অনেক উন্নয়ন করেও একটু খারাপ ব্যবহারের কারণে সব ভাল কাজ মান হয়ে যাবে। এছাড়া ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাহমুদা মিলন ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষক ও ব্যবসায়ী আবদুল হাই মিলন । দিশারী সহ সভাপতি মাস্টার আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজ আহম্মদ চৌধুরী , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন আরা বেগম । এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সংগঠক রফিক উল্যাহ সিকদার, দিশারী সাধারন সম্পাদক খায়েজ আহাম্মদ , আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও কৃতি ছাত্রী শারমিন আক্তার প্রমূখ। পরে বৃত্তি প্রাপ্ত কৃতি শিার্থীদের মাঝে সনদ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। বিকেলে দিশারীর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
দাগনভূঞায় মাহমুদা মিলন ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে - ওবায়দুল কাদের "রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়া ছোড়ির কারনে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসবে না"
(৪ মে ২০১১)আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়া ছোড়ির কারনে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসছে না আসবে ও না। রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের শালীন বিনয়ী আন্তরিক ও ত্যাগী মনোভাবী হয়ে একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি গত রবিবার সকালে উপজেলার আতাতুর্ক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিশারী পরিচালিত মাহমুদা মিলন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন , রাজনীতির নামে আজ দেশে বিভক্তি, বিদ্বেষ শক্রতা হানাহানি ও কটু কথা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা একে অপরকে আক্রমন করছি । আমরা রাজনীতিবিদরা রাজনীতির নামে কুৎসা রটাচ্ছি। সন্ত্রাস কায়েম, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও কালো টাকার পাহাড় গড়ছি। তিনি আরো বলেন, আমরা সংসদ সদস্যরা সংসদে গালাগাল করি এতে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসার আগ্রহ হারাচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে কিছুই জানাতে পারছিনা । আইন করে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায় কিন্তু কটুকথা বিদ্বেষ বন্ধ করা যায়না। বিরোধী দলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন , লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এদেশ আজ বিশ্ব দরবারে খাটো হয়ে পড়েছে। আজ সংবিধান উপেতি । সংবিধান সংশোধনে আপনারা মতামত দিন ভূমিকা রাখুন। সংবিধান কারো একার নয়, কোন দলের নয়। এটি সব দলের সব মতের অভিন্ন জাতীয় সম্পদ । সংবিধান ষোল কোটি মানুষের সম্পদ । তিনি আরো বলেন, সবার আগে দেশ। আসুন আমরা এদেশকে রায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। এদেশের মানুষের ক্ষুদ্র তিনটি চাহিদা। তারা একটু খাদ্য চায় , শান্তিতে ঘুমাতে চায়, চায় নিরাপত্তা । সাধারণ এই মানুষগুলোর চাহিদা বাস্তবায়নে আমাদের নতুন প্রজন্মকে তৈরী করতে হবে। এসব ইস্যুতে আমাদের ঐকমত্য দরকার । বিদ্যুৎ প্রসংগে তিনি বলেন, মে মাসে একহাজার এবং ডিসেম্বর নাগাদ আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে তখন সমস্যার সমাধান না হলেও সহনীয় পর্যায়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর সংশোধন নীতি প্রসংগে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার সংশোধন নীতিতে বিশ্বাসী । আঁড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর করার সিদ্ধান্ত বাতিল সংশোধন নীতিরই বহিঃ প্রকাশ । জনপ্রতিনিধি ও তার দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সাথে খারাপ আচরন করলে তার কপালে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন জুটবেনা। অনেক উন্নয়ন করেও একটু খারাপ ব্যবহারের কারণে সব ভাল কাজ মান হয়ে যাবে। এছাড়া ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাহমুদা মিলন ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষক ও ব্যবসায়ী আবদুল হাই মিলন । দিশারী সহ সভাপতি মাস্টার আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজ আহম্মদ চৌধুরী , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন আরা বেগম । এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সংগঠক রফিক উল্যাহ সিকদার, দিশারী সাধারন সম্পাদক খায়েজ আহাম্মদ , আনোয়ার হোসেন সোহাগ ও কৃতি ছাত্রী শারমিন আক্তার প্রমূখ। পরে বৃত্তি প্রাপ্ত কৃতি শিার্থীদের মাঝে সনদ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। বিকেলে দিশারীর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
Labels:
রাজনীতি
