(২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩) ফেনীতে দূর্বিত্তরা ষ্টার লাইন দু’টি বাসে অগ্নিসংযোগ, একটি বাস ভাংচুর, শহরের হাসপাতাল মোড়ে ষ্টার লাইন কাউন্টারে অগ্নিসংযোগ, জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি কলেজ ও কিন্ডার গার্টেন অগ্নিসংযোগ ও ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখা ও দুটি বুথ ভাংচুর করেছে। অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের সময় পুলিশের আবু সায়েম নামে এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছে। সন্ধ্যায় শহরের কামাল হাজারী রোডে শিবির নিয়ন্ত্রিত একটি মেসে অগ্নিসংযোগ করেছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ ২ শিবির সমর্থককে আটক করেছে। পৃথক ঘটনারয় প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। গণজাগরনের মঞ্চ ও শহীদ মিনার ভাংচুরের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করেছে তরুন প্রজন্ম। সারাদেশে পূর্ব ঘোষিত জামায়াত সহ ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন গুলো মহান আল্লাহ ও রাসুল (স.) কে নিয়ে ব্লগে কিছু নাস্তিকের কুরুচিপূর্ণ লেখালেখির প্রতিবাদ এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে যে তান্ডব চালিয়েছে তার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রাতে ফেনী পৌর ইমাম সমিতি ফেনী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শহীদ মিনারে হামলাকারীদের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচাররের দবি জানান। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফাজিরপুরের অলিনগরে শুক্রবার বিকেলে একটি যাত্রীবাহি বাসে আগুন, একটি বাস ভাংচুর করেছে স্থানীয় দূর্বিত্তরা। এর আগে দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া নামক স্থানে জামায়াত পরিচালিত সন্দেহে ‘লেমুয়া কিন্ডার গার্টেন’ অগ্নিসংযোগ করে দূর্বিত্তরা। অপর দিকে বিকেলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে জামাত পরিচালিত বিকন মডেল কলেজে দূর্বিত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে আরো একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দূর্বিত্তরা। এছাড়া ফেনী শহরের কলেজ রোডে ইসলামি ব্যাংক কলেজ রোড শাখা ভাংচুর করে দূর্বিত্তরা। এসময় শহরের মদিনা বাস স্টেন্ড সংলগ্ন ইসলামী ব্যংকের একটি বুথ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। লেমুয়া একাডেমী অগ্নিসংযোগের সময় বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সায়েম আহত হয়েছে। দূর্বিত্তরা দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-টচ্রগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া অংশে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। সন্ধ্যায় শহরের কামাল হাজারী রোডে শিবির নিয়ন্ত্রিত একটি মেসে অগ্নিসংযোগ করেচে দূর্বিত্তরা। জামায়াতের তান্ডবের ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পৃথক ঘটনারয় প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। রাতে শহরের হাসপাতাল মোডে ষ্টার লাইন কাউন্টারে অগ্নিসংযোগ। ফেনী মডেল থানার আধিনে বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফিরোজ কিন্ডার গার্টেনে অগ্নিসংযোগ, যাত্রীবাহী বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিদের ব্যানার থেকে বের হয়ে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গুলো তান্ডব চালিয়েছে। তারা শহরের ট্রাংক রোডস্থ গণজাগরণ মঞ্চে অগ্নিসংযোগ করে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাংচুর করে। বিক্ষোভকারীরা শহীদ জননি জাহানার ইমামের ফেষ্টুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি সহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীর ফেস্টুন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। জুম্মার নামাজের পর শহরের জহিরিয়া মসজিদ, কোর্ট মসজিদ, বড় জামে মসজিদ, ফালাহিয়া মাদ্রাসা মসজিদসহ সকল মসজিদ থেকে ইসলাম ও মহানবী (সঃ) এর উদ্দেশ্যে কুটক্তি করার প্রতিবাদে পৌর ইমাম কমিটির ব্যানারে জামায়াতে ইসলামসহ ইসলামী সমমনা ১২ দলের মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল করে দোয়েল চত্বরে একত্রিত হয়। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে জামায়াত শিবির কর্মীরা সমাবেশ থেকে বের হয়ে পুলিশের সামনেই গণজাগরণ মঞ্চে ও শহীদ মিনারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দুপুর ২ টা ধেকে ৩টা পর্যন্ত তাদের তান্ডবে পুরো শহরে আতঙ্ক বিরাজ করে। এসময় পুলিশ ও র্যাব নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এদিকে রাতে ফেনী প্রেস ক্লাবে পৌর ইমাম সমিতি ইমামদের ব্যানারে থেকে বের হয়ে শহীদ মিনার ও গণজাগরণ মঞ্চে অগ্নিসংযোগকারীরা ইমামদের কেউ নয় বলে দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ফেনী প্রেস ক্লাবে পৌর ইমাম সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম লিখিত বক্তব্যে জানান, দুপুরে আমাদের সমাবশে চলাকালীন সময় কিছু উশৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারী শহীদ মিনারে হামলা চালায়। ইমাম সমিতি ভিডিও ফুটেজ দেথে তাদের সনাক্ত করে আইনের হাতে সোপর্দ করার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে ফেণী পৌর এলাকার প্রায় সকল মসজিদের ইমাম ও খতিবরা উপস্থিত ছিলেন।ফেনী পুলিশের এএসপি (সার্কেল) মোহাম্মদ শামছুল আলম সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ শিবির সমর্থক ২ জনকে আটক করেছে।
-->