(২১ মে ২০১১) ফেনী ও মুহুরী নদী এখন মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে। প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ফেনী ও মুহুরী নদীর পানির উচ্চতা কমে উৎস মুখে পানি হ্রাস পাওয়ায় ও চর জেগে উঠায় হারিয়েছে খরস্রোত। এক সময়কার খরস্রোতা এই দুই নদী এখন মরা নদীতে পরিনত হচ্ছে। নদী ব ভরাট হয়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকায় চলতে পারে না ডিঙ্গি নৌকা। পানি শূণ্যতায় ফেনী ও মুহুরী নদীর দুই পাশে শতশত মাইল জুড়ে চাষাবাদ হলেও নদী পানিশূণ্য হওয়ায় অনাহারে জীবন যাপন করছে হাজারও নৌকাবাহী পরিবার। ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের থেকে পাওয়া অর্থে চলে যেতো নৌকাবাহী সংসারগুলো। নদীদ্বয় পানিশূণ্য হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের এই অবলম্বন। অন্যদিকে, চর জাগায় মহুরী নদীর আশপাশের জায়গাগুলো ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সরকারী ঘোষনাকে অমান্য করে ভূমিদস্যূ ও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতারা সেই জেগে উঠা চর দখল করে নিচ্ছে। আবার চর জাগায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেলেদের মাছ ধরা। বন্ধ থাকা নদী নির্ভর সেচ প্রকল্প গুলো পানির অভাবে এখনও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি ধারণের জন্য যে ড্রেজিং দরকার ছিল তা করা হয়নি। এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলার ৫ নম্বর ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানায়, দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ফেনী ও মুহুরী নদীর পানির পরিমাণ কমছে। আর প্রতি বছরই সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। বর্ষা মৌসুমে যে পরিমাণ পানি জমে তার স্থায়িত্ব খুবই কম। ফলে ফেনী ও মুহুরী নদীর দুইকূল জুড়ে ছোট বড় অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরণ আইনে নদীতে গাড়া পাতন, বাঁধ স্থাপন করে মাছ শিকার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা থাকলেও মিরসরাই উপজেলার ও সোনাগাজী এলাকায় প্রতি বছরই জেলে পরিচয়ধারী বিশেষ প্রভাবশালীরা বাঁশ ও জাল দিয়ে বিশেষ বাঁধ নদীর বিরাট এলাকায় আড়াআডি পেতে ইলিশ, জাটকা সহ অন্যান্য মাছ, মাছের ডিম ও পোনা শিকার করে। ফলে ফেনী ও মুহুরী নদী মৎস্য শূণ্য হতে চলেছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, যারা ইলিশ, জাটকাসহ অন্যান্য মাছ ডিম ও পোনা শিকার করে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতেও পারে না। নদীদ্বয়ে চর জাগায় একাধারে অসহায় হয়ে পড়ছে নদী নির্ভর নৌকাবাহী মাঝি ও জেলেরা। অন্যদিকে অনায়াসে ভূমিদস্যুরা তাদের পেশীশক্তিতে দখল করে নিচ্ছে শত শত একর খাস জমি।ফেনী ও মুহুরী নদী পানি শূণ্য
(২১ মে ২০১১) ফেনী ও মুহুরী নদী এখন মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে। প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ফেনী ও মুহুরী নদীর পানির উচ্চতা কমে উৎস মুখে পানি হ্রাস পাওয়ায় ও চর জেগে উঠায় হারিয়েছে খরস্রোত। এক সময়কার খরস্রোতা এই দুই নদী এখন মরা নদীতে পরিনত হচ্ছে। নদী ব ভরাট হয়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকায় চলতে পারে না ডিঙ্গি নৌকা। পানি শূণ্যতায় ফেনী ও মুহুরী নদীর দুই পাশে শতশত মাইল জুড়ে চাষাবাদ হলেও নদী পানিশূণ্য হওয়ায় অনাহারে জীবন যাপন করছে হাজারও নৌকাবাহী পরিবার। ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের থেকে পাওয়া অর্থে চলে যেতো নৌকাবাহী সংসারগুলো। নদীদ্বয় পানিশূণ্য হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের এই অবলম্বন। অন্যদিকে, চর জাগায় মহুরী নদীর আশপাশের জায়গাগুলো ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সরকারী ঘোষনাকে অমান্য করে ভূমিদস্যূ ও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতারা সেই জেগে উঠা চর দখল করে নিচ্ছে। আবার চর জাগায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেলেদের মাছ ধরা। বন্ধ থাকা নদী নির্ভর সেচ প্রকল্প গুলো পানির অভাবে এখনও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি ধারণের জন্য যে ড্রেজিং দরকার ছিল তা করা হয়নি। এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলার ৫ নম্বর ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানায়, দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ফেনী ও মুহুরী নদীর পানির পরিমাণ কমছে। আর প্রতি বছরই সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। বর্ষা মৌসুমে যে পরিমাণ পানি জমে তার স্থায়িত্ব খুবই কম। ফলে ফেনী ও মুহুরী নদীর দুইকূল জুড়ে ছোট বড় অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরণ আইনে নদীতে গাড়া পাতন, বাঁধ স্থাপন করে মাছ শিকার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা থাকলেও মিরসরাই উপজেলার ও সোনাগাজী এলাকায় প্রতি বছরই জেলে পরিচয়ধারী বিশেষ প্রভাবশালীরা বাঁশ ও জাল দিয়ে বিশেষ বাঁধ নদীর বিরাট এলাকায় আড়াআডি পেতে ইলিশ, জাটকা সহ অন্যান্য মাছ, মাছের ডিম ও পোনা শিকার করে। ফলে ফেনী ও মুহুরী নদী মৎস্য শূণ্য হতে চলেছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, যারা ইলিশ, জাটকাসহ অন্যান্য মাছ ডিম ও পোনা শিকার করে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতেও পারে না। নদীদ্বয়ে চর জাগায় একাধারে অসহায় হয়ে পড়ছে নদী নির্ভর নৌকাবাহী মাঝি ও জেলেরা। অন্যদিকে অনায়াসে ভূমিদস্যুরা তাদের পেশীশক্তিতে দখল করে নিচ্ছে শত শত একর খাস জমি।
Labels:
কৃষি-পরিবেশ
