বড় ফেনী নদীতে পুলিশের সাড়াশি অভিযান

(১ জুলাই ২০১২) ফেনী সোনাগাজী উপজেলার নদী উপকূলীয় অঞ্চল থেকে স¤প্রতি জলদস্যু বাহিনী কর্তৃক গবাদিপশু লুটের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ফেনী ও সোনাগাজী থানা পুলিশ বড় ফেনী নদীসহ বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গবাদিপশু উদ্ধার ও জলদস্যু দমনে সাড়াশি অভিযান চালায়।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে সোনাগাজী উপজেলার নদী উপকূলীয় বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চর আবদুল্যাহসহ কয়েকটি চরের খামার থেকে সোনাগাজীর জলদস্যুদের সহযোগিতায় উড়িরচর, সন্দ্বীপ, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম, মিরসরাইয়ের জলদস্যুবাহিনীরা রাতের আঁধারে ট্রলারযোগে নদীপথে খামারগুলোতে হানা দিয়ে প্রহরীদের পিটিয়ে আহত করে প্রায় ২ সহস্রাধিক গরু, মহিষ, ভেড়া লুট করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ নিয়ে খামার মালিকরা বিভিন্ন অঞ্চলের জলদস্যুদের আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় ৮-১০টি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বিভিন্ন ভাবে জলদস্যুদের দমন করার চেষ্টা করলেও দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। দিনÑদিন জলদস্যুরা চরাঞ্চলে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমনকি জলদস্যুদের আতংকে কাঁপছে সোনাগাজীর উপকূলের জনগণ। তাই জলদস্যুদের দমনের লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ফেনী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আহমদ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সামছুল আলম ও মোস্তাক সরকার, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি নবীর হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশত পুলিশ বড় ফেনী নদীর চরআবদুল্যাহ, বঙ্গোপসাগরের মোহনায় কেওড়া বাগান ও উড়িরচরের বিভিন্ন অঞ্চলে জলদস্যুদের গ্রেপ্তার ও লুটকৃত গবাদিপশু উদ্ধারে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু পুলিশ নদীপথে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করার জন্য চরখোন্দকার গ্রামের এক সময়ের ডাকাত সর্দার শুক্কুর বর্তমানে শুক্কুর মহাজন থেকে একটি ট্রলার ভাড়া চাইলে তিনি ট্রলার দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা না করে উল্টো চরখোয়াজ গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়। রফিক বর্তমানে সোনাগাজীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলের জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করার কারণে পুলিশের নদীপথের অভিযানের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে জলদস্যুরা শুক্কুর ডাকাতের ট্রলারে করে উড়িরচর থেকে লুটকৃত গবাদি পশুগুলোকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। যার ফলে পুলিশ নদীতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জলদস্যূ গ্রেফতার বা লুটকৃত গবাদি পশু উদ্ধার করতে পারেনি। সূত্রে আরো জানায়, রফিক ফেনী পৌরসভার জননন্দিত মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারীর পি.এস পরিচয় দিয়ে সোনাগাজী সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, রাহাজানি, চুরি, ডাকাতি লুট সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে জলদস্যূদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।