সাজানো অপহরণ মামলার ভয় দেখিয়ে : ফেনী থানায় দুই যুবককে আটকে রেখে চাঁদা আদায়

(৪ এপ্রিল ২০১২)  ফেনী শহরের রামপুরের একটি বাসা থেকে গত রবিবার রাতে দুই যুবককে আটক করে থানা হাজতে বিশ ঘন্টা আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় পুলিশ। ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ফেনী মডেল থানার পুলিশ সেনবাগ উপজেলার ছানা উল্যাহর ছেলে মো. আবছার উদ্দিন মারুফ বিদেশে যাওয়া নিয়ে দাগনভূঞার জনৈক সাহাব উদ্দিনের কাছে ভিসার জন্য দুই লাখ টাকা দেয়। সাহাব উদ্দিন ভিসা না দিয়ে চলছাতুরী করে দীর্ঘ দিন গড়িমসি করে। এ ঘটনায় এলাকায় সালিশে ওই টাকাগুলো ফেরত দেয়ার জন্য দাগনভূঞার জনৈক আলা উদ্দিন (২৮) জিম্মা নেয়। জিম্মা নিয়ে মারুফকে টাকা দেয়ার জন্য গত রবিবার দিন ধার্য করা হয়। রবিবার টাকা গুলো দিবে বলে মারুফকে শহরে ওয়ান ব্যাংকে নিয়ে যায়। সেখানে তার একাউন্টে টাকা না থাকায় ব্যর্থ হয়ে মহিপাল প্লাজায় দিবে বলে সেখানে নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও টাকা দিতে না পারায় মারুফ আলাউদ্দিনকে রামপুর তার বাসায় নিয়ে যায়। এদিকে আলাউদ্দিন তার আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে বলে তাকে মারূপ অপহরণ করেছে। আলা উদ্দিন অপহনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবার আত্মীয়-স্বজনরা ফেনী থানায় খবর দেয়। ফেনী মডেল থানার এসআই শাহআলম রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে রামপুরের জয়নাল কটেজ থেকে মারুফ ও তার বন্ধু কামরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় মারুফকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী সাজিয়ে তার স্বীকারোক্তি আদায় করেতে ব্যর্থ হয়। স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে শাহআলম মারুফ ও কামরুলের বিরুদ্ধে দাগনভূঞার আলা উদ্দিনকে বাদী সাজিয়ে অপহরনের মামলা তৈরি করে। এছাড়াও বিভিন্ন মামলা দিয়ে আদালতে চালান করবে বলে হুমকি দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলে এসআই শাহ আলম হুমকি দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মারুফের স্বজনরা অভিযোগ করে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য এসআই শাহ আলমকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু শাহ আলম কারো কথা কর্ণপাত না করে শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে রাত ৮টায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপরে মারুফের আত্মীয় স্বজরা জানায়, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আটককৃতদের ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করলেও এসআই শাহ আলম ছাড়তে নারাজ। এসআই শাহ আলম টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।